"এন্টারপ্রেনারশিপ"কে কোন পেশা বা দক্ষতার চেয়ে মনের একটি অবস্থা বলা ভাল। একজন উদ্যোক্তা কোন কিছু বদলে দিতে চান- আগের চেয়ে আরও ভালভাবে কোন পন্য বা সেবা কিভাবে দেয়া যায় সেটা নিয়ে চিন্তা করেন এবং সে অনুযায়ী কাজ করে যান। বইটিতে লেখক কালোত্তীর্ণ কিছু পরামর্শ দিয়েছেন। এই লেখাটি বইটার একটি মোটামুটি সারসংক্ষেপ বলা যেতে পারে।
Buy the book at Amazon.com
Buy the book at Amazon.com
এজন উদ্যোক্তা হিসাবে আপনার পাঁচটি মূল বিষয় অবশ্যই খেয়াল করা উচিৎ-
১) যা করছেন তা যেন আপনার কাছে অর্থপূর্ণ হয়।
২) একটি মূলমন্ত্র বেছে নিন।
৩) দীর্ঘ প্লান করে অযথা সময় নস্ট না করে কাজে নেমে পড়ুন
৪) আপনাম ব্যবসার ধরন ঠিক করুন (বিজনেস মডেল)
৫) অনুমান, বড় বড় লক্ষ্য আর তার জন্য কি কি করতে হবে সে অনুযায়ী কাজের তালিকা রাখুন - প্রয়োজনে সংশোধন করুন ভুল পদক্ষেপ নিয়ে ফেললে-
শুরু করার আগে
বেশিরভাগ সময় আপনি এই প্রশ্নের সম্মুখীন হন যে আপনি কঠোর পরিশ্রম কতে পারবেন কিনা, লেগে থাকতে পারবেন কিনা- ইত্যাদি। কিন্তু মনে রাখতে হবে কোন কিছু করার উৎসাহ থাকা আর সেই কাজটা করতে পারার মধ্যে অনেক পার্থক্য আছে।
সেই কারনে সেই দিকে না গিয়ে নিজেকে প্রশ্ন করুন-
১) আমি কি অর্থপূর্ণ কিছু করতে চাই?
২) আমি কি এই পৃথিবীকে একটুখানি এগিয়ে নিতে চাই?
৩) আমি কি মানুষের জীবনযাত্রার মান আমার পন্য বা সেবার মাধ্যমে বাড়াতে চাই?
এই প্রশ্নগুলির উত্তর যদি হ্যা হয়- তবে আপনি কাজে লেগে যাওয়ার জন্য প্রস্তুত। আর কোন একটা প্রশ্নের উত্তর যদি না হয় তাহলে আরেকবার ভাবুন। আপনি হয়ত কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে কোন একটা প্রতিষ্ঠান দাড়া করাতে পারবেন। কিন্তু আপনি সেটা আপনার মন থেকে বড় কিছু মনে করতে পারবেন না। আর অর্থপূর্ণ কোন কিছু করতে গিয়ে যদি আপনি ব্যর্থও হন- তাহলেও আপনি সান্ত্বনা পাবেন যে আপনি বড় কিছু করার চেষ্টা অন্তত করেছেন।
আপনি যদি একটি কোম্পানির মালিক হন তাহলে নিজেকে প্রশ্ন করুন- আমার কোম্পানি না থাকলে কি অসুবিধা হত কোম্পানির পন্য বা সেবা গ্রহনকারীদের- যদি কোন উত্তর না পান তাহলে আপনি হয়ত একজন সফল ব্যবসায়ী - কিন্তু সত্যিকার অথ্যে উদ্যোক্তা নন। একজন মুদি দোকানের মালিক বা একজন বিপননকারীকে আমরা উদ্যোক্তা বলব না। আপনি কোন নতুন ধারনার উপর ভিত্তি করে একটা চায়ের দোকান প্রতিষ্ঠা করলে (যেমন ১ মিনিটে সুস্বাদু চা) আপনি একজন উদ্যোক্তা।
মূলমন্ত্র
আপনি আপনার কোম্পানির জন্য একটা মূলমন্ত্র ঠিক করুন। এটা আপনার মিশন স্টেটমেন্ট থেকে আলাদা হবে। উদাহরন হিসাবে IBM এর মূলমন্ত্র হচ্ছে Think। আপনি আপনার মূলমন্ত্র ঠিক করবেন আপনার প্রতিষ্ঠানের সাথে জড়িত সবার জন্য - ক্রেতাসাধারণের জন্য না- আপনার কোম্পানির মূলমন্ত্র হতে পারে "ক্রেতার সন্তুষ্টি" বা "সবার জন্য শিক্ষা" বা এই ধরনের কোন একটা সংক্ষিপ্ত শব্দগুচ্ছ। যেটা আপনার প্রতিষ্ঠানের সাথে জড়িত সবাই জানবে এবং বিশ্বাস করবে।
মূলমন্ত্রের সবচেয়ে ভাল দিক হচ্ছে এটা আপনাকে সিদ্ধান্ত নিতে সাহায্য করবে। কোনকিছু করবেন কিনা সেটা নিয়ে দ্বিধা থাকলে আপনি নিজেকে প্রশ্ন করবেন- এটা কি আপনার মূলমন্ত্রের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ?
মূলমন্ত্র হবে হবে হা-বাচক- কি করতে চান সেটা প্রকাশ করবে- কি করতে চান না সেটা নয়-
দ্রুত বাজারজাত এবং তারপর অবিরাম এগিয়ে যাওয়া
আপনার প্রতিষ্ঠানের সব কাজ কি আপনার প্রতিষ্ঠানকে সামনের দিকে এগিয়ে নিচ্ছে? আপনি কি আপনার পণ্যের উৎপাদনের জন্য কাজ করে যাচ্ছেন? নাকি শুধু পরিকল্পনা করে যাচ্ছেন? সবকিছু ঝেড়ে ফেলে কাজে লেগে যান আর একটা নমুনা (Prototype) তৈরির দিকে মন দিন। প্রথমবারের চেষ্টায় সফল হয়েছে এমন কোম্পানির সংখ্যা খুবই নগণ্য। মানুষ কি ভাববে এটা নিয়ে চিন্তা করবেন না। কিভাবে আপনি শুরু করলেন সেটার চেয়ে আপনি কিভাবে আপনার পণ্য বা সেবার মান দিন দিন বাড়াচ্ছেন সেটা অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। সুতরাং একটা ভার্সন ১ তৈরি করুন - সেটাকে বাজারে ছেড়ে দিন- সবার মন্তব্য মন দিয়ে শুনুন- সে অনুযায়ী পণ্যের মানের বা ফিচার পরিবর্তন করুন- বারবার এটা করুন- প্রথম সংস্করণে কখনও যুগান্তকারী কিছু করা যায় না-
আপনি আপনার পণ্যের মান নিয়ে যদি দ্বিধায় থাকেন তাহলে নিজেকে প্রশ্ন করুন সেটা আপনার মা বা বাবা যদি ব্যবহার করতে চায় তাহলে আপনি দিবেন কিনা। উত্তর হ্যা হলে বাজারে ছেড়ে দিন। প্রথম যারা আপনার পণ্য ব্যবহার করবে তারা জানবে আপনার পণ্যের এটা প্রাথমিক সংস্করণ। আপনি যদি অবিরাম উন্নয়ন করে যান তাহলেই কোন সমস্যা নাই। প্রথমবারে নিখুত করতে গিয়ে যত সময় নিবেন তত দেরিতে আপনি ব্যবহারকারীর ফিডব্যাক পাবেন। যেটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
তবে এটা ব্যাপার খেয়াল রাখতে হবে। যে কাজে আপনার পন্য ব্যবহার হবে সেটা যেন মোটামুটি সহজে করা যায়। আপনি হয়ত একটা হাতুড়ি বাজারজাত করবেন- সেটা দিয়ে যেন পেরেক ঠোকা যায়। দেখতে যদি সেটা সুন্দর না হয় ক্ষতি নেই আপাতত। আপনি একটা টেক্সট এডিটর বানিয়েছেন। সেটা দেখতে খুব সুন্দর না হোক; অনেক ফিচান না থাক- কিন্তু সেটা দিয়ে টেক্সট এডিট করা যায় তো? আপনি যদি পৃথিবীর সবচেয়ে ভাল টেক্সট এডিটর বানানোর পরিকল্পনা করে থাকেন সেটা খুবই ভাল কথা- কিন্তু ভার্সন ১.০ তে সেটা করতে যাওয়া বোকামি হবে। এমন কি হতে পারে না যে আপনি যেটা গুরুত্বপূর্ণ ভ্বছেন সেটা আসলে ব্যবহারকারীর কাছে গুরুত্তচূর্ণ না? http://craigslist.org/ এই অসম্ভব জনপ্রিয় সাইটটি এবার ঘুরে আসুন। কেন এটা এত জনপ্রিয়?
কি করবেন
আপনি একটা কোম্পানি দাড়া করাবেন- কিন্তু মনের মত আইডিয়া পাচ্ছেন না?
বিভিন্নভাবে আপনি আইডিয়া পেতে পারেন। আপনি হয়ত কোন কিছুর অভাব অনুভব করেন কিন্তু বাজারে সেটা নেই- আপনি সেটা নিজেই কেন তৈরি করছেন না? একজন উৎপাদনকারী যখন ক্রেতা তখন পন্যের ফিচার নিয়ে কোন দ্বিধা থাকে না। তবে অবশ্যই আপনি যেমন পন্য বাজারে থাকলে কিনে আনতেন তেমন পন্য বানান। অন্য মানুষ কি পছন্দ করতে পারে সেটা ভাবার দরকার নাই। আপনি যদি কোন কিছুর অভার অনুভব করেন আর কেউ সেটা বাজারে ছাড়লে গাঁটের টাকা খরচ করতে রাজি থাকেন তাহলে আরও অনেকে সেটা পয়সা খরচ করে কিনবে।
আরেকটা হতে পারে যে আপনি হয়ত কোন কোম্পানিতে কাজ করেছেন- সেখানে ক্রেতার প্রয়োজন আছে এমন একটা পণ্যের যেটা আপনার কেই কোম্পানি বানাতে আগ্রহী নয়- আপনি নিজেই শুরু করে দিন যদি সম্ভব হয়।
আপনার কাজ হবে কোন একটা কিছুর অভাব খুজে বের করা- তারপর সেই অভাব পূরণ করা। বা কোন একটা সমস্যা খুজে বের করে তার সমাধান বের করা।
বিজনেস মডেল
আপনার একটা বিজনেস মডেল লাগবে। সেটা বিশাল হওয়ার দরকার নাই। আসলে সেটা হতে হবে খুবই ছোট। ১০ শব্দের মধ্যে হলে ভাল। জনপ্রিয় ebay কোম্পানির বিজনেস মডেল এরকম- "একটা লিস্টিং ফি থাকরে আর বিক্রি প্রতি কমিশন নেয়া হবে"। কোটি কোটি টাকার বিজনেস যদি এত সাধারন মডেলে চলতে পারে তাহলে বিশাল আর জটিল বিজনেস মডেল তৈরি করা সময়ের অপচয় নয়কি? (সার্কিটের মুন্না ভাইকে দেয়া জটিল শব্দ ব্যবহারের পরামর্শের কথা মনে পড়ল- হা হা হা)
আপনার কোম্পানি পরিচালনার খরচ আর আপনি কি পরিমান বিক্রি করতে পারবেন সেটা বিবেচনা করে সহজ একটা মডেল দাড়া করান।
গুরুত্বপূর্ণ লক্ষ্যসমুহ
আপনার কোম্পানির কাজকর্ম যেন একটা সুনির্দিষ্ট লক্ষের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ হয়। আপনাকে অবশ্যই বিচ্ছিন্নভাবে করা অসামঞ্জস্যপূর্ণ কাজ পরিহার করতে হবে- যেগুলো সময় আর অর্থ অপচয় ছাড়া আর কোন উপকার করবে না।
মোটামুটি সব ধরনের কোম্পানির জন্য নিচের লক্ষ্যগুলো প্রযোজ্যঃ
১) আপনার আইডিয়ার বাস্তবায়ন সম্ভব কিনা সেটা যাচাই করা
২) পন্যে বা সেবার পরিকল্পনা
৩) নমুনা বা প্রোটোটাইপ তৈরি
৪) মূলধন সংগ্রহ
৫) যাচাই করা যায় এমন একটি ভার্সন বাজারে ছাড়া-
৬) ক্রেতার মতামত অনুযায়ী একটি ব্যবহারযোগ্য ভার্সন বাজারে ছাড়া
৭) খরচের চেয়ে মুনাফা বেশি হওয়া (Breakeven)
কোন কোন ক্ষেত্রে ভবিষ্যতে করলেও হবে এমন কিছু করাও অনুচিৎ। কারণ তাহলে এখনই করা উচিৎ এবং না করলে আপনার কোম্পানির অগ্রগতি ব্যহত হবে সেগুলোর দিকে নজর দেয়া সম্ভব হবে না। আপনি যদি আপনার হাতুড়ির হাতলের কারুকাজের দিকে মনোযোগ দেন যখন কিনা আপনার হাতুড়ি দিয়ে পেরেক ঠোকা যায় না- আপনি সময়ের অপচয় করছেন। প্রথমে পেরেক ঠোকার ব্যবস্থা করুন। তারপর সেটা কাউকে ব্যবহার করতে দিন। ঠিকমত পেরেক ঠোকা যাচ্ছে? না গেলে কেন যাচ্ছে না সেটা ঠিক করুন। কারুকার্যখোচিত হাতুড়ি যেটা দিয়ে পেরেক ঠোকা যায় না সেটা কেউ কিনবে না। আর ব্যবহারকারীর মতামত যাচাই না করে আপনি কখনও নিশ্চিৎ হতে পারবেন না যে আপনার পন্য ব্যবহারকারী পছন্দ করবে।
অনুমানসমুহ
উদ্যোক্তা হিসাবে আপনাকে নিচের অনুমানগুলি করতে হবেঃ
আপনার কোম্পানির পার্ফমেন্স কেমন হবে-, মার্কেট সাইজ কেমন,
মুনাফা কেমন হবে, একজন সেলসম্যান কতজন ক্রেতার কাছে দিনে যেতে পারবে, তারমধ্যে কতজন পন্য কিনবে, প্রতি ইউনিট বিক্রয়ের জন্য কাস্টমার টেক সাপোর্ট কলের জন্য কত খরচ হবে, কম্পিটিশন কেমন হবে, কাচামাল বা পন্য উৎপাদের জন্য কেমন খরচ হবে ইত্যাদি।
এইগুলো যেহেতু অনুমান সুতরাং বাস্তবে কিছু অনুমান ভুল হতেই পারে। কোন অনুমান ভুল হলে সেটার জন্য দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া আপনার দায়িত্ব।
কাজের তালিকা
আপনার দৈনন্দিন কাজের একটা তালিকা থাকা জরুরী। তবে সেটা হতে হবে একেকটা উদ্যেশ্য। যেমন আপনি ভাত রান্নাকে একটা উদ্যেশ্য ধরতে পারেন- কিন্তু চুলা জ্বালানো কোনো উদ্যেশ্য নয়- যদিও ভাত রান্নার জন্য সেটা জরুরী। ধরুন আপনি চুলা জ্বালানো আপনার তালিকায় যোগ করলেন এবং চাল ধোয়া, চুলায় হাঁড়ি বসানো ইত্যাদি তালিকায় পরপর রাখলেন। এখন কাউকে দায়িত্ব দিয়ে বাইরে গেলেন। সে ম্যাচের অভাবে চুলা জালাতে পারল না। সুতারাং বাকি কাজও হল না। কিন্তু যদি তাকে বলতেন ভাত রান্না কর- তাহলে সে হয়ত আপনার ইলেকট্রিক রাইসকুকার ব্যবহার করত। কয়েকদিন আগে আমার এরকম একটা অভিজ্ঞতা হয়েছে। একটা ফিচার একটা সফটওয়ারে কনফিগার করার চেষ্টা করছিলাম- কেন করছিলাম সেটার সম্পর্কে ধারণা ছিল না। আমার যেন কম কাজ করতে হয় সেজন্য ছোট্ট একটা অংশ করতে দেয়া হয়েছিল। পরে দেখা গেল আসলে সেটার কোন দরকার নাই- সহজে অন্যভাবে করা যায়।
মার্কেটিং থিম- আপনার কোম্পানির অবস্থান ঠিক করুন
আপনার কোম্পানি সম্পর্কে সাধারণ মানুষ কি ভাবে সেটা ঠিক করা অত্যন্ত জরুরী। আপনি যদি সফটওয়ার কোম্পানি হন- তাহলে আপনার ক্রেতা যেন আপনাকে হার্ডওয়ার বিপননকারী না ভাবে। যদিও আপনি আপনার সফটওয়ার দালানোর উপযোগী হার্ডওয়ার সরবরাহ করেন। আসুন এখন দেখি কিভাবে আপনি আপনার অবস্থান সম্পর্কে ধারণা দিবেন-
আপনি আপনার কোম্পানির কাজ কি সেটা ৩০ সেকেন্ডে বুঝিয়ে বলতে পারেন? যদি না পারেন তাহলে এখনই চিন্তাভাবনা করে বের করুন। তারপর আপনার বনবধুকে বলুন আপনার কোম্পানির কাজ কি। তারপর তাকে বলতে বলুন। আপনার বন্ধু যদি ঠিকমত বলতে না পারে আপনি আবার ঠিক করুন কি বলবেন। অন্য একজন বন্ধুকে বলুন - তারপর তাকেও বলতে বলুন। যতক্ষণ আপনি সন্তষ্ট না হচ্ছেন ততক্ষন এই প্রক্রিয়া অব্যাহত রাখুন।
এরপর আপনি ঠিক করবেন আপনার পন্য কেন ক্রেতা কিনবে। আপনার পন্য ব্যবহার করে ক্রেতা কি উপকার পাবে। কখনই অন্য কোম্পানিকে বাজার থেকে উৎখাত করতে চান এটা বলতে যাবেন না। আপনার দায়িত্ব আপনার পণ্যের থেকে কি উপকার পাওয়া যাবে সেটার উপর জোর দেয়া।
আপনার পন্যের মান সম্পর্কে ধারণা দিতে এমন কিছু ব্যবহার করবেন না যা সবাই ব্যবহার করে - যতক্ষন আপনি প্রমান দিতে না পারছেন। আপনি হয়ত বলতে চান আপনার সফটওয়ার ব্যবহার সহজ। কিন্তু তার প্রমান দিলেন না। তাহলে হবে না। আপনাকে বলতে হবে আপনার সফটওয়ার ব্যবহারের জন্য কোন ট্রনিং লাগে না এবং উদাহরন দিতে হবে। এখন যদি অন্য কোম্পানির সফটওয়ার ব্যবহার করতেও ট্রেনিং না লাগে তাহলে হাস্যকর হবে অবশ্য।
আপনি যা বলছেন সেটার ব্যাপারে ক্রেতার আগ্রহ থাকতে হবে। আপনি যদি বলেন আপনার হাতুড়ি দিয়ো কান চুলকানো যায় তাহলে সেটা নিশ্চয়ই অন্য সবার থেকে আলাদা হবে। কিন্তু কেউকি সেটা কিনতে উৎসাহী হবে? মূল বিষয়ে মনোযোগ দিন। আপনার পন্যের ক্রেতা কারা সেটা যেন যে বেউ চোখ বন্ধ করে বলতে পারে। সেইমত আপনি আপনার বিজ্ঞাপেনর মূলভাব ঠিক করবেন।
আপনার মার্কেটিং থিম যেন ব্যক্তিগত হয়। ধরুন আপনি বললেন আপনার সফটওয়ার HTTPS প্রোটোকল ব্যবহার করে। আমি বলব তাতে আমার কি! আপনাকে বলতে হবে এই সফটওয়ার ব্যবহার করলে আপনার ব্যক্তিগত তথ্য নিরাপদ থাকবে- আপনার ক্রেডিটকার্ড অন্য কেউ ব্যবহার করতে পারবে না।
আপনার পণ্যের কোন সুবিধা বা ফিচার বলার সময় নিজেকে প্রশ্ন করবেন তাতে কি লাভ। তারপর সেই প্রশ্নের উত্তর দিবেন। তাহলে আপনার ফিচারের গুরুত্ব সবাই বুঝতে পারবে। শুধু টেকনিক্যাল টার্ম ব্যবহার করে আপনার ব্যবহারকারিকে বিভ্রান্ত করবেন না।
শূন্য থেকে শুরু
আপনার পুঁজি নেই কিন্তু কোম্পানি দাড়া করাতে পান? কোন সমস্যা নেই। মাইক্রোসফট, অ্যাপল, গুগল এরাও পুঁজি সংগ্রহ করে তারপর ব্যবসা শুরু করে নাই। আস্তে আস্তে বড় হয়েছে। টাকার অভাব কোন বাধা হয়নি। আপনার বড় কিছু করার স্বপ্ন থাকতে হবে। তারপর আনি শুরু করুন শূণ্য থেকে (Bootstrapping)।
আপনি যদি কোন সফল কোম্পানির দিকে তাকান তাহলে দেখবেন তারা অনেক ধরনের পণ্য বাজারজাত করে। একেকটা গ্রুপ অব কোম্পানি। কিন্তু আপনি যদি সেটা দেখে শুরুতেই অনেক কিছু করার চেষ্টা করেন তাহলে কোনটাই ঠিকমত করতে পারবেন না। মাইক্রোসফট যেভাবে ব্যাসিক কম্পাইলার দিয়ে শুরু করেছিল আপনিও সেভাবে শুরু করুন। তারপর সময় সুযোগ মত আস্তে আস্তে বড় করুন আপনার কোম্পানির পরিধি। ছোট ছোট পন্য যেটার ব্যাপারে বড় কোম্পানি উৎসাহ দেখবে না সেগুলো দিয়ে শুরু করলেই সব মিলিয়ে বড় কিছুর জন্ম হবে।
আপনার যদি পুঁজির অভাব থাকে তাহলে আপনার প্রথম কাজ হবে মোটামুটি এটা পন্য খুব দ্রুত দাড়া করানো। তাপর নিয়মিত সেটার উন্নয়নের দিকে নজন দেয়া।
খুব সুন্দর পোস্ট। অনেক কিছু জানতে পারলাম।
ReplyDeleteভাললেছে
ReplyDelete