Sunday, August 21, 2011

The E-Myth Revisited - Part 1

একটি সমীক্ষায় দেখা গেছে ক্ষুদ্র ব্যাবসা শুরুর এক বছরের মধ্যে ৪০% ব্যাবসা গুটিয়ে নিতে বাধ্য হয়- পাঁচ বছরের মধ্যে ৮০% আর যে সব পাঁচ বছর টিকে যায় তার মধ্যে ৮০% পরবর্তী পাঁচ বছরে ব্যাবসা গুটিয়ে নেয়। বইটির লেখক দীর্ঘদিন পর্যবেক্ষণ করে ব্যার্থ ব্যাবসা প্রতিষ্ঠান গুলোর মধ্যে আশ্চর্য কিছু সাদৃশ্য দেখতে পেয়েছেন। ঠিক তেমনি সাদৃশ্য পেয়েছেন সফল কোম্পানিগুলোর মধ্যেও। এই বইটিতে লেখক তাঁর পর্যবেক্ষণের ফলাফল বিস্তারিত তুলে ধরেছেন - কেন বেশিরভাগ ক্ষুদ্র ব্যাবসা সফল হতে পারে না এবং সে বিষয়ে কি করা যায় সে সম্পর্কে তাঁর ব্যাবস্থাপত্র দিয়েছেন। একজন উদ্যোক্তার এই বিষয়গুলো সম্পর্কে স্বচ্ছ ধারণা থাকলে সহজে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে পারেন।

Buy from Amazon

কেন বেশিরভাগ ক্ষুদ্র ব্যাবসা সফল হয় না সেটার বিভিন্ন ব্যাখ্যা দেয়ার চেষ্টা করা হয়। দেখা গেছে সফল বা অসফল সব উদ্যোক্তা কাজ করেন - কিন্তু অসফল উদ্যোক্তা অগুরুত্বপূর্ণ কাজে সময় ব্যয় করেন বেশি। ফলে গুরুত্বপূর্ণ কাজগুলো করার সময় হয় না বা সেগুলোকে গুরুত্বপূর্ণ হিসাবে অনুধাবণ করতে উদ্যোক্তা ব্যর্থ হন। ফলে তার উদ্যোগ শেষ পর্যন্ত ব্যার্থ হয়।

আপনি যদি আপনার ব্যাবসার উন্নতির জন্য কোন পরিবর্তন চান তাহলে আপনার নিজেকে সর্বপ্রথম পরিবর্তন করতে হবে। একজন অলস বা লোভী ব্যাক্তির প্রতিষ্ঠানে যারা কাজ করবে তারাও অলস বা লোভী হবে।-

একজন ক্ষুদ্র ব্যাবসা উদ্যোক্তা তার নিজের ব্যাবসা শুরুর আগে সাধারণত অন্য একটি কোম্পানিতে কাজ করেন। তিনি অন্য কোম্পানিতে যে কাজ করেন তাতে হয়ত তিনি খুবই দক্ষ। একসময় তিনি নিজের একটি ব্যাবসা প্রতিষ্ঠা করতে চান। একজন দক্ষ প্রোগ্রামার নিজের সফটওয়ার কোম্পানি প্রতিষ্ঠা করেন বা একজন দক্ষ একাউন্টেন্ট নিজের একাউন্টিং ফার্ম প্রতিষ্ঠা করেন। নিজের প্রতিষ্ঠান শুরু করার আগে তাঁরা প্রায় সবাই একটি ভুল ধানণা পোষন করেন যে কোন একটি কাজে দক্ষ হওয়া আর সেই বিষয়ের ব্যাবসাতে দক্ষ হওয়া একই বিষয়। কিন্তু এটি একটি মস্ত বড় ভুল ধারণা। কোন একটি কাগে দক্ষতা অর্জন আর সেই কাজ করে যে পন্য বা সেবা সম্পর্কিত ব্যাবসায় দক্ষতা অর্জন করা সম্পুর্ণ আলাদা বিষয়।

একজন প্রগ্রামার যদি একটি সফটওয়ার কোম্পানি প্রতিষ্ঠা করেন তাহলে তিনি দেখতে পাবেন তিনি যে একটা কাজ (প্রোগামিং) ভাল করতে পারেন তার সাথে আরও অনেক ধরণের কাজ যুক্ত হয়েছে যেগুলোতে তিনি হয়ত ততটা দক্ষ নন বা সেগুলো সম্পর্কে আসলে তার কোন ধারনাই নেই।

ফলে ব্যাবসা শুরুর সময়ের উত্তেজনা মিলিয়ে গিয়ে সেখানে প্রথমে ভয়, তারপর আতঙ্ক তার উপর ভর করতে পারে যদি অন্য ধরনের কাজ গুলো তিনি সঠিক ভাবে করতে ব্যার্থ হন। অতিরিক্ত পরিশ্রমে তিনি একসময় ক্লান্ত হয়ে পড়েন। একজন উদ্যোক্তার স্বপ্ন তার কাছে অনেক দূরের বিষয় মনে হয়। তিনি তার দৈনন্দিন কাজের উদ্দেশ্য সম্পর্কে চিন্তা করার সময় পান না।-

একজন উদ্যোক্তা যখন কাজে নামেন তখন তার মধ্যে তিনটি ভিন্ন স্বত্তা কাজ করে। একজন প্রকৌশলী বা কারিগর, একজন ম্যানেজার আর একজন এন্টারপ্রেনার।

একজন প্রকৌশলী বা কারিগর উৎপাদনের সাতে সরাসরি জড়িত থাকেন। তাকে ছাড়া উৎপাদন থেমে যায়। কিন্তু তিনি একবারে একটির বেশি কাজে হাত দিতে চান না। কারণ তিনি জানেন একাধিক কাজ একসাথে করার চেষ্টা করলে কোনটিই ঠিকমত শেষ করা যায় না।

একজন ম্যানেজার সবকিছু পরিপাটি দেখতে চান। কোন পরিবর্তন তাকে আতঙ্কিত করে তোলে। তিনি সবকিছু ঠিকঠাক মত চললে স্বস্তি পান। কিন্তু একজন এন্টারপ্রেনার স্বপ্ন দেখেন। তিনি বিভিন্ন ধারণা পরীক্ষা করে দেখতে চান। এজন্য তার ম্যানেজার ও প্রকৌশলীর সহায়তা দরকার।

একজন এন্টারপ্রেনারকে চিন্তা করতে হয় একটা কোম্পানি কিভাবে পরিচালিত হবে। একজন প্রকৌশলী চিন্তা করেন কি কাজ করতে হবে। এন্টারপ্রেনার চিন্তা করেন ফলাফল কি হচ্ছে- প্রকৌশলী চিন্তা করেন কি কি কাজ করা হল- সেটার জন্য ফলাফল কি ঞল তা চিন্তা করতে চান না। এন্টারপ্রেনার ভবিষ্যতের কথা ভেবে সবকিছু করেন আর প্রকৌশলী চিন্তা করেন বর্তমানে তার হাতে কি কাজ আছে।

এই তিনটি ভিন্ন স্বত্তার সুসম সাম্যাবস্থা খুবই জরুরী একটি উদ্যোগ সফল হওয়ার জন্য। যখন একজন প্রকৌশলী কোন একটি ব্যাবসা উদ্যোগ নেন তখন কার প্রকৌশলী স্বত্তা সবচেয়ে বেশি সক্রিয় থাকার কারণে সব কাজ তিনি নিজে করতে চান। কিন্তু যতক্ষণ তিনি এইভাবে নিজে করতে চাইবেন ততক্ষণ কার ব্যাবসা সফল হওয়ার সম্ভবনা কম। তার অনুপস্থিতিতে ব্যাবসা যদি না চলে সেটা আসলে কখনওই সত্যিকার ব্যাবসা প্রতিষ্ঠান হিসাবে সফল হবে না। তাকে অবশ্যই একটি সিস্টেম দাড়া করাতে হবে যেটা সয়ক্রিয়ভাবে চলতে পারবে। আপনি যদি শুধু টেকনিক্যাল কাজ করতে চান- তাহলে অন্য কারও কোম্পানিতে কাজ করা উচিৎ হবে। কারণ সব কাজ নিজে করতে চাইলে আপনি বেশি গুরুত্বপূর্ণ কাজ করতে পারবেন না।


প্রথম পর্যায়ে উদ্যোক্তারা নিজেরা্ই সব কাজ করেন। উৎপাদন, মার্কেটিং, বিপনন সবকিছু। তারা দিনরাত কাজ করে যান। কিন্তু কাজের পরিমান দিনদিন বাড়তে থাকে আর উদ্যোক্তা তাল মেলাতে হিমসিম খেতে থাকেন।

আপনি যখন একা সব কাজ সামলাতে না পারেন তখন আপনি চিন্তা করেন আপনার কোম্পানির প্রথম এমপ্লয়ীর কথা। আপনি নিজে যে কাজ করতে পারেন না তা করার জন্য একজনকে নিয়োগ দেন। যথন তিনি কাজে যোগ দেন এবং কাজ শুরু করেন আপনি বুঝতে পারেন আপনার অনেক কাজ কমে যায়। আপনি আপনার এমপ্লয়ীকে কোন কাজ বুঝিয়ে দিয়ে সেটার কথা আপনি ভুলে যেতে চান। কারণ ওইসব কাজে আপনি কোন উৎসাহ পান না। আপনার জীবন অনেক সহজ হয়ে যায়। আপনি আরও লোক নিয়োগ করেন। কিন্তু একসময় দেখতে পান আপনার কোম্পানিতে বিশৃঙ্খলা দেখা দেয়। কারণ আপনি আপনার নিজের কাজে ব্যস্ত থাকেন তখন আপনার এমপ্লয়ীরা ইচ্ছামত কাজ করতে থাকে। এইসব বিশৃঙ্খলা দেখে আপনি হতাশ হয়ে সব কাজ আবার নিজে করার চেষ্টা করতে চেষ্টা যদি করেন তাহলে আপনার কোম্পানির জন্য কবর খোড়ার কাজ শুরু করবেন। আপনি আপনার সামর্থের চেয়ে অনেক বেশি কাজ করা শুরু করবেন। আপনি যত বেশি কাজ করবেন আপনার এমপ্লয়ীরা তত কম কাজ করবে। একসময় হয়ত আপনি চিন্তা করতে বাধ্য হবেন আপনার কোম্পানির পরিধী আবার ছোট করে নিয়ে আসতে। কিন্তু সেটা করলে আপনার কোম্পানির মৃত্যুর ব্যবস্থা হয়ে গেল। আপনার কোম্পানি তখন আসলে আরেকটি জবের মত- যেটা ম্যানেজ করে একজন অদক্ষ ম্যানেজার (আপনি)।

একজন উদ্যোক্তা হিসাবে আপনি কখনওই আপনার এমপ্লয়ী এর কাজে পুরোপুরি সন্তুষ্ট হতে পারবেন না। আপনাকে এর মধ্যেই কাজ করতে হবেঅ চিন্তা করতে হবে আপনার হোতে যা আছে তার সর্বোচ্চ ব্যবহার কিভাবে করতে পারেন আপনি। কোন কিছু পছন্দ না হলে আপনি নিজে করতে যাবেন না। আপনার এমপ্লয়ী এর ট্রেনিং এর ব্যাবস্থা করুন। তার কাজের যথাযথ মূল্য দিন। তাকে উৎসাহ দিন। হতাশ না হয়ে আপনি এগিয়ে যান। একপা একপা করে এগিয়ে গেলেই আপনি বহুদূর যেতে পারবেন।

=======================================================
এই বইটা কমপক্ষে তিনটা পার্টে শেষ করতে পারব। আরও কয়েকবার চেষ্টা করতে হবে ঠিক মত কাজটা করার জন্য। ১০ আগষ্ট শুরু করে আজ পর্যন্ত (২১ আগষ্ট) এইটুকু লিথতে পেরেছি-
=======================================================

1 comment:

  1. thanks for this post.
    I'll try my best to implement those experience.
    thanks again . keep posting. :)

    ReplyDelete